ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চারদিনের সফরে লন্ডন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo পটুয়াখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিলো নৌবাহিনী Logo ঈদে বাড়ি ফেরা লোকাল বাসে ৫৫০ টাকার ভাড়া ৯০০, ভোগান্তিতে যাত্রীরা Logo ফরিদপুরে বাস-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫ Logo বুধবার খেলবেন হামজা, অভিষেক হতে পারে ফাহামিদুলের Logo মুরগির ঘরে বসবাস করা সেই লালবড়ুর পাশে দাঁড়ালেন র‍্যাব-ইউএনও Logo দেশের প্রথম মনোরেল হচ্ছে চট্টগ্রামে, চুক্তি সই Logo জামায়াতের নিবন্ধন-প্রতীক ও ইশরাক ইস্যুতে রায়ের কপির অপেক্ষায় ইসি Logo গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েই দায়সারা পুলিশের, আন্দোলনে নগরবাসীর ভোগান্তি Logo তারেক রহমান ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, মান-অভিমানের সুযোগ নেই

বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

গতকাল বুধবার দুপুর থেকে রাজধানীর কাকরাইল মোড় অবরোধ করে অবস্থান নেওয়া জবি শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়ক ছাড়েননি। গতকালের মতো আজও ক্যাম্পাসের বাসভর্তি করে তারা সেখানে হাজির হয়েছেন।

দুপুর ১২টার পর ঝুম বৃষ্টি নামলেও আন্দোলনকারীরা অবস্থান ত্যাগ করেননি। তাদের অনেকে ছাতা মাথায় সেখানে অনড় অবস্থান নেন। অনেকে বৃষ্টি ভিজেই দাবি আদায়ের স্লোগান ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন রাজধানীর কাকরাইল এলাকা ঘুরে বৃষ্টিভেজা আন্দোলনের এ চিত্র দেখা গেছে।

আন্দোলন ঘিরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে জবির শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় তারা ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দুপুরে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

পরে তারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করা হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক। পরে তাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৮:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

গতকাল বুধবার দুপুর থেকে রাজধানীর কাকরাইল মোড় অবরোধ করে অবস্থান নেওয়া জবি শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়ক ছাড়েননি। গতকালের মতো আজও ক্যাম্পাসের বাসভর্তি করে তারা সেখানে হাজির হয়েছেন।

দুপুর ১২টার পর ঝুম বৃষ্টি নামলেও আন্দোলনকারীরা অবস্থান ত্যাগ করেননি। তাদের অনেকে ছাতা মাথায় সেখানে অনড় অবস্থান নেন। অনেকে বৃষ্টি ভিজেই দাবি আদায়ের স্লোগান ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন রাজধানীর কাকরাইল এলাকা ঘুরে বৃষ্টিভেজা আন্দোলনের এ চিত্র দেখা গেছে।

আন্দোলন ঘিরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে জবির শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় তারা ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দুপুরে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

পরে তারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করা হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক। পরে তাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।