ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ত্যাগ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিলেন সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান।।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির সাথে ছিলাম, আছি থাকবো- কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র বর্ধিত সভায় এমন কঠোর ঘোষনা দিয়েও অবশেষে দল ত্যাগ করলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বর্তমান কমিটির ২ নং কার্যনির্বাহী সদস্য। বিএনপির সমর্থন নিয়ে একবার সংসদ সদস্য ও দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার দল ত্যাগের এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা।

অপরদিকে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সাধারন মানুষ। বদলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

১৯৮১ সালে নিস্ক্রিয় প্রায় বিএনপিকে সক্রিয় করতে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তরুনদের নিয়ে কলাপাড়া বিএনপিকে উজ্জীবিত করেন এবং শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করেন। ১৯৮৮ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামীলীগের দুই শক্ত অবস্থানের প্রার্থীকে পরাচিত করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে অংশগ্রহন করে এমপি নির্বাচিত হন। 

২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিট না পেয়ে ঘড়ি প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে পরাজিত হন। এসময় দল ত্যাগের ঘটনায় বিএনপির হাই কমান্ড তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। ২০০৮ সালে ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন আমলের নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি দলে ফিরে আসেন। কিন্তু দলে তার পূর্বের অবস্থান আর ফিরে পাননি। এরপর ২০০৮ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে আওয়ামীলীগের প্রবল প্রতিরোধের মুখে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি ২০২৪ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির ২ নং সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮১ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এবং বর্তমান কমিটির ২ নং সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নের ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমের নিজ বাড়ির আল কারীম জামে মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে তার হাতে হাত রেখে যোগ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কলাপাড়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট জেড এম কাওসার। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলার শাখার সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট জেড এম কাওসার বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ফরম পূরন করে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ ফজলুল করিমের হাতে হাত রেখে তিনি যোগদান করেছেন। ইসলামের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে এবং ইসলামের পক্ষে কাজ করার লক্ষ্যে তিনি যোগদান করেছেন। 

অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি বিএনপিতে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ  ইসলামী আন্দোলন সঠিক রাজনীতি করছে। জীবনের শেষ সময়ে মানুষের জন্য কিছু করে যেতে পারি এজন্যই আমি ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। ইসলামী আন্দোলনের কাছে আমি নমিনেশন চাইবো। দল থেকে যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবো।

##

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিএনপি ত্যাগ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিলেন সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান।।

আপডেট সময় : ০৭:৪২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

বিএনপির সাথে ছিলাম, আছি থাকবো- কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র বর্ধিত সভায় এমন কঠোর ঘোষনা দিয়েও অবশেষে দল ত্যাগ করলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বর্তমান কমিটির ২ নং কার্যনির্বাহী সদস্য। বিএনপির সমর্থন নিয়ে একবার সংসদ সদস্য ও দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার দল ত্যাগের এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা।

অপরদিকে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সাধারন মানুষ। বদলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

১৯৮১ সালে নিস্ক্রিয় প্রায় বিএনপিকে সক্রিয় করতে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তরুনদের নিয়ে কলাপাড়া বিএনপিকে উজ্জীবিত করেন এবং শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করেন। ১৯৮৮ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামীলীগের দুই শক্ত অবস্থানের প্রার্থীকে পরাচিত করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে অংশগ্রহন করে এমপি নির্বাচিত হন। 

২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিট না পেয়ে ঘড়ি প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে পরাজিত হন। এসময় দল ত্যাগের ঘটনায় বিএনপির হাই কমান্ড তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। ২০০৮ সালে ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন আমলের নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি দলে ফিরে আসেন। কিন্তু দলে তার পূর্বের অবস্থান আর ফিরে পাননি। এরপর ২০০৮ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে আওয়ামীলীগের প্রবল প্রতিরোধের মুখে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি ২০২৪ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির ২ নং সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮১ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এবং বর্তমান কমিটির ২ নং সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নের ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমের নিজ বাড়ির আল কারীম জামে মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে তার হাতে হাত রেখে যোগ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কলাপাড়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট জেড এম কাওসার। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলার শাখার সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট জেড এম কাওসার বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ফরম পূরন করে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ ফজলুল করিমের হাতে হাত রেখে তিনি যোগদান করেছেন। ইসলামের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে এবং ইসলামের পক্ষে কাজ করার লক্ষ্যে তিনি যোগদান করেছেন। 

অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি বিএনপিতে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ  ইসলামী আন্দোলন সঠিক রাজনীতি করছে। জীবনের শেষ সময়ে মানুষের জন্য কিছু করে যেতে পারি এজন্যই আমি ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। ইসলামী আন্দোলনের কাছে আমি নমিনেশন চাইবো। দল থেকে যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবো।

##