পর্যটককে মারধর করে টাকা ছিনতাই ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি সহ গ্রেপ্তার-৩।

- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় ব্লু-বার্ড নামের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে এক পর্যটককে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পর্যটক বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করছেন। পর্যটক তুহিন ঢাকা মিরপুর এলাকার শেওড়াপারা বাসিন্দা আব্দুস সোবহান’র ছেলে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুয়াকাটা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আবাসিক হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক মোঃ বেল্লাল হোসেন (৪৫), তার সহযোগী রিয়াজ (২৪) শাকিল (২৪)। অপর সহযোগী ইউসুফ হাওলাদার (২৭) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় কুয়াকাটার হোটেল ব্লু বার্ডে একজন পর্যটককে আটকে রেখে মারধর করে ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিকপক্ষ। আরো ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে ১০২ কক্ষে তালাবদ্ধ করে বিদ্যুতের সুইচ অফ করে আটকে রাখা হয়েছে। আটককৃত পর্যটক তুহিন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করেন । এরপর মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে পর্যটক তুহিনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় চারজনের নামে ০২ (৫)/২০২৫ নং একটি মামলা রুজু হয়েছে।
ভুক্তভোগী পর্যটক তুহিন জানান, গত ৪ দিন আগে কুয়াকাটার ব্লু বার্ড নামের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন। ১ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে ৪দিন যাপন অবস্থান করছেন। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ বেল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা তার কাছে ৪ দিনে ১২ হাজার টাকা দাবী করলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে রুমে চলে যান। এরপর তারা হোটেলের ১০২ নম্বর রুমে গিয়ে তাকে মারধর করে সাথে থাকা ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে তাকে হোটেল কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে তিনি জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করে সাহায্য চাইলে মহিপুর থানা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউসুফ হাওলাদার পালিয়ে যান।
অভিযোগ রয়েছে কুয়াকাটা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন শরীকদার হোটেলটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তি চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, ব্যক্তির কোনো দায় দল নিবে না। কুয়াকাটা পৌর যুবদল অত্যন্ত সুসংগঠিত। যুবদলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামি ইউসুফ হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা আব্যাহত আছে।
##